প্রথম খুতবা

সূচনা

يَأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَلْتَنظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ

وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ نَسُوا اللَّهَ فَأَنسَلَهُمْ أَنفُسَهُمْ أُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

لَا يَسْتَوِي أَصْحَابُ النَّارِ وَأَصْحَابُ الْجَنَّةِ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَائِزُونَ

لَوْ أَنزَلْنَا هَذَا الْقُرْءَانَ عَلَى جَبَلٍ لَرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا

لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ

سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ

هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আর প্রত্যেকের উচিত চিন্তা করে দেখা সে আগামীকালের জন্য কি প্রেরণ করেছে; তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। তোমরা তাদের মত হইও না, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল ফলে আল্লাহও তাদেরকে আত্মবিস্মৃত করে দিয়েছিলেন; আর তারাই হল ফাসিক। জাহান্নামবাসী ও জান্নাতবাসীরা সমান নয়; জান্নাতবাসীরাই সফলকাম। এ কুরআনকে যদি আমি পাহাড়ের ওপর নাযিল করতাম তবে তুমি অবশ্যই তাকে দেখতে, আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ। মানুষের জন্য আমি এ উদাহরণগুলি পেশ করি; হয়ত তারা চিন্তাভাবনা করবে। তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা হাশরঃ ১৮-২৪) আল-বায়ান

সম্মানিত মুসলিম! গত জুমায় আমরা আর রাহমান, পবিত্র নাম নিয়ে আলোচনা করেছি, এবং আর রাহমানের বান্দা/বান্দিদের গুণাগুণ নিয়ে কুরআনের নির্বাচিত কিছু আয়াতের মাপকাঠি থেকে আমাদের প্রত্যেকের একেকজনের অবস্থান বুঝার, আর সে অনুপাতে আমলে সালিহ বা নেক আমল বাড়ানোর তাগিদ করেছি। ইন শা আল্লাহ আজকের জুমা'র খুতবার বিষয় হল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার পবিত্র নাম আর রাহিম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা।

ভাষাতাত্ত্বিকভাবে আর রাহমান এবং আর রাহিমঃ ভাষাতাত্ত্বিক ভাবে, রাহমান ও রাহীম শব্দদ্বয় "রা হা মিম” ক্রিয়ামুল হতে আগত। রিহম অর্থ হল মহিলাদের গর্ভাশয়। যেখান থেকে 'রিহম' 'রাহ্মা' বা 'রহমত' শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হল হৃদ্বয়ের কোমলতা যা দয়া ও অনুগ্রহের বাসনা। মহিলারা যেহেতু গর্ভের সন্তানদের প্রতি করুণা ও দয়া প্রদর্শন করেন তাই সেখান থেকে এই অর্থের আবির্ভাব। আল্লামা বায়যাভী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আল্লাহ'র 'আর রাহমান' এবং 'আর রাহিম' গুণাবলী দুটি পর্যায়ে আছে। যথাঃ প্রাথমিক পর্যায়, হল অন্তরের কোমলতা, হৃদয়ের দয়ার্দ্রতা, এবং চূড়ান্ত পর্যায় হল অনুগ্রহ করা, নিআমত দান করা ইত্যাদি। মনে রাখা দরকার, চূড়ান্ত পর্যায়টি আল্লাহ ছাড়া আর কারও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ইমাম জারীর তাবারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আর রাহমানের অর্থ হল সমগ্র সৃষ্টজীবের প্রতি করুণা বর্ষণকারী, এবং, আর রাহীমের অর্থ হল যিনি মুমিনদের উপর দয়াবর্ষণকারী। আর রাহীম যে শুধুমাত্র মুমিনদের জন্যে প্রযোজ্য সেই ব্যাপারে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু। [আহযাবঃ৪৩]। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু বলেন, রাহমান ও রাহীম দুটি করুণাবিশিষ্ট শব্দ। একের মধ্যে অন্যের তুলনায় দয়া ও করুণা বেশী আছে। সকল সাহাবীদের এই অভিমত যে, রাহীমের চেয়ে রাহমানের ব্যাপকতা বেশী।


লেখকঃ আবু আমনুন সায়্যিদ।

সম্পূর্ণ লেখা পড়তে "DOWNLOAD PDF" বাট্‌নে এ ক্লিক করুন।