প্রথম খুতবা
সূচনা
'আম্মা বা'দ অতঃপর - To proceed:
“আহলুত তাকওয়া এবং আহলুল মাগফিরাহ” এ বিষয়ে আজকের খুতবায় কুর'আন সুন্নাহ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত তথ্য বহুল আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ। ওয়ামা তাওফিকি ইল্লাহ বিল্লাহ। আলাইহি তাওাক্কালতু ওয়া ইলাইহি উনিব!
কুর'আন তিলাওয়াতের সময় আমি যখনি সুরা মুদ্দাসসিরের ৫৬ নাম্বার আয়াত পড়েছি, তখনি মনে হয়েছে এ সুন্দর আয়াত নিয়ে নিজের জন্য কিছু লিখি। অথবা আয়াতের অর্থের গভীরে গিয়ে শিক্ষণীয় বিষয়টি নিজে জানি, অপরকে বলি বা শেয়ার করি আমার ঘনিষ্ঠ জনের সাথে।
সুরা আল মুদ্দাসসির এর ৫৬ আয়াত
৭৪:৫৬ وَ مَا يَذْكُرُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللهُ هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَ أَهْلُ الْمَغْفِرَةِ আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে পারে না। তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী।)
[১] অর্থাৎ, এই কুরআন থেকে হিদায়াত এবং নসীহত সে-ই গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, যার জন্য আল্লাহ চাইবেন। : التكوير ) وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ : ২৯)
[২] অর্থাৎ, আল্লাহই এর একমাত্র উপযুক্ত যে, তাঁকে ভয় করা হোক। আর তিনিই মাফ করার এখতিয়ার রাখেন। কাজেই তিনি একা এই অধিকার রাখেন যে, তাঁর আনুগত্য করা হোক এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা হোক। এতে মানুষ তাঁর ক্ষমা ও রহমত পাওয়ার অধিকারী সাব্যস্ত হবে। [তাফসীরে আহসানুল বায়ান]
[৩] আল্লাহ তা'আলা ) أَهْلُ التَّقْوَى( এই অর্থে যে, একমাত্র তারই তাকওয়া অবলম্বন করা যায়। তিনি ব্যতীত আর কারও তাকওয়া অবলম্বন করতে বলা যায় না। একমাত্র তাঁকেই ভয় করা এবং তার নাফরমানী থেকেই বেঁচে থাকা জরুরী।
[৪] আর আল্লাহ তা'আলা )وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ( হওয়ার উদ্দেশ্য এই যে, তিনিই অপরাধী গোনাহগারের অপরাধ ও গোনাহ যখন ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। অন্য কেউ এরূপ গুনের অধিকারী উচ্চমনা হতে পারে না। [দেখুন: ইবন কাসীর]
সুরা আল মুদ্দাসসির এর শানেনুযুল
সূরা আল-মুদ্দাসসির-এর শানে নুযুল বর্ণনায় মুফাসসেরীনে কেরাম উল্লেখ করেছেন, সূরা আল- মুদ্দাসসির ইসলামের সম্পূর্ণ প্রাথমিক যুগে অবতীর্ণ মক্কী সূরা সমূহের অন্যতম। এ কারনেই কেউ কেউ একে সর্বপ্রথম অবতীর্ণ সূরাও বলেছেন। কিন্তু সহীহ রেওয়ায়ত অনুযায়ী সর্বপ্রথম সূরা 'আলাক' এর প্রাথমিক আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। এরপর কুরআন অবতরণ বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। এই বিরতির শেষভাগে একদিন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় পথ চলাকালে উপর দিক থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পান। তিনি উপরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পান যে, হেরা গুহায় আগমনকারী সেই ফেরেশতা শূন্যে একটি আসনে বসে আছেন। ফেরেশতাকে এমতাবস্থায় দেখে তিনি হেরাগুহার অনুরূপ আবার ভীত-আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কনকনে শীত ও কম্পন অনুভব করে তিনি গৃহে ফিরে বললেন- زملونى زملونی অর্থাৎ আমাকে চাদরাবৃত কর, আমাকে চাদরাবৃত কর। অতঃপর তিনি চাদরাবৃত হয়ে শুয়ে পড়লেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূরা আল-মুদ্দাস্সির এর প্রাথমিক আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। তাই সুরার শুরুতে যুল 'আরশিল মাজীদ ওয়া রাব্বুল কা'বা المدثر )অর্থাৎ ওহে চাদরাবৃত্ত!) বলে সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করেছেন।
লেখকঃ আবু আমনুন সায়্যিদ।
সম্পূর্ণ লেখা পড়তে "DOWNLOAD PDF" বাট্নে এ ক্লিক করুন।
0 Comments
Post a Comment