إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا

مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلا تَمُوتُنَّ إِلا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ قال الله تعالى

يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا وقال تعالى

كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ وقال تعالى

يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا

فَإِن أَصْدَقُ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ تَعَالَى وَأَحْسَنُ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا

وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِي النَّارِ

أَمَّا بَعْدُ

সম্মানিত মুসল্লিগণ!

একজন মুমিন বান্দাকে ঈমানের, ইবাদতের তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিছু বিধি-বিধান, নিয়ম- কানুন মেনে চলতে হয়। অদেখা মা'বুদকে tabaraka wa ta'la এবং গায়েবের আরও অনেক কিছু তাকে বিশ্বাস করতে হয়। আর এই বিশ্বাসের কারণে সে যখন ঈমানদারদের দলভুক্ত হয়ে গেলো তখন তাকে কিছু ইবাদাত বন্দেগী নিয়মিত করে যেতে হয়। একই ভাবে ইসলামের গণ্ডীর ভেতর থাকার জন্য to be within the fold of Islam তার জীবনে চলার উপায় উপকরণের ক্ষেত্রেও তাকে শরি'আ নির্ধারিত সুস্পষ্ট বিধি-বিধানের মধ্যে থাকতে হয়। একজন মুমিনের দৈনন্দিন জীবন-যাপন, আয়-রোজগার, খাবার-দাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ, এককথায় আমরা যাকে রিযিক বলি- সবই এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী বিষয় হল পবিত্র কুর'আনের একটি আয়াতকে সঠিকভাবে বুঝা। কারণ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লা জীনজাতি ও আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদাত-উপাসনার জন্য। সুরা যারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ "ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়া'বুদুন।” তাহলে কি আমরা সারাদিন সারারাত শুধু সালাত, কুর'আন তিলাওয়াত, সিয়াম, যাকাত ইত্যাদি উপাসনায় রত থাকব? আমাদেরকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত সব কিছু বাদ দিতে হবে? ইসলাম সে কথা বলেনি। আসলে বিষয়টি এমন নয়। ইসলাম অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বিধান কমপ্লিট কোড অফ লাইফ। আমরা যদি শরি'আ অনুমোদিত হালাল জীবন-যাপন করি তাহলে, আমাদের আয়-রোজগার, খাবার-দাবার, পোশাক- পরিচ্ছদ, রিযিকের প্রচেষ্টা সবকিছু ইন শা আল্লাহ ইবাদাত বলে গণ্য হবে। সুবহান আল্লাহ!

প্রাসঙ্গিকভাবে বলি, মালয়েশিয়ার এক মন্ত্রী মজার একটা কথা বলেছিলেন। কথাটা সঠিক। কয়েক বছর আগে কোনো কনফারেন্সে তিনি নাকি বলেছিলেন, আমরা অনেক মুসলমান শুধু খাবার খাওয়ার সময় বাহ্যিকভাবে হালাল খোঁজ করি। অর্থাৎ খাবারের মেনুতে শুকর নাকি গরু বা মুরগি তা যাচাই করি। শুকর হলে খাই না, গরু বা মুরগি হলে খাই। কিন্তু এ গরু আর মুরগি কীভাবে জবাই হয়েছে তাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছিলো কিনা, বা কীভাবে অর্জিত হয়েছে বৈধ না অবৈধ পন্থায় ওই পর্যন্ত হালাল-হারামের খোঁজ করতে আমরা যাই না। আমরা সীমিত দৃষ্টিতে হালাল-হারামের শেষ স্তরটা দেখি। মুরগি বা গরু কিনতে পারছি, এটা ঠিক আছে। মুরগি বা গরুটার জবাই ঠিক মত হয়েছে কি না - এটা কেউ কেউ খোঁজ করি, কিন্তু মুরগি বা গরু যে পয়সা দিয়ে কিনা হল সে পয়সাটা হালাল, না হারাম ওটা আমরা খেয়াল রাখিনা। সম্মানিত উপস্থিতি চলুন মনে রাখি হালাল এবং হারাম একেবারে উৎস থেকে শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে চলে।


লেখকঃ আবু আমনুন সায়্যিদ।

সম্পূর্ণ লেখা পড়তে "DOWNLOAD PDF" বাট্‌নে এ ক্লিক করুন।