ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল, ২২ সফর ১৪৪২, ২৪ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৯ অক্টোবর ২০২০

[কৃতজ্ঞতা শিকারঃ ডা. মুহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা মূসা, ঢাকা, বাংলাদেশ]

প্রথম খুতবা

সূচনা

إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا

مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلا تَمُوتُنَّ إِلا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ قال الله تعالى

يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا وقال تعالى كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ وقال تعالى يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا

فإِن أَصْدَقُ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ تَعَالَى وَأَحْسَنُ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِي النَّارِ

أَمَّا بَعْدُ

সমস্ত প্রশংসা এক অদ্বিতীয় আল্লাহর জন্য। যে মহান সত্ত্বা তাঁর সৃষ্টির প্রশংসার পূর্ব থেকে স্বতঃই প্রশংসিত। আমরা তাঁর সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আমরা আমাদের মধ্যে থাকা মন্দ এবং আমাদের মন্দ কর্মের পরিণতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে পথ দেখান সে কখনই বিপথগামী হবে না এবং যাকে পথভ্রষ্ট করেন সে কখনও সৎপথ পায়না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাসূল।

প্রিয় মুসল্লিগণ!

যে কারণে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় প্রবেশের প্রথম পিলার তাওহীদের কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ মুখে বলা, অন্তরে স্বীকৃতি দেয়া এবং কাজে কর্মে বাস্তবায়িত করা আমাদের নিজেদের দুনিয়া আখিরাতে মুক্তির জন্য প্রয়োজন, ঠিক তেমনি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর শর্ত সমূহ জানা এবং মানা আমাদের সবার জন্য অতীব জরুরী। এই জরুরী বিষয় গুলো নিয়ে আমরা বিগত কয়েক খুতবায় আলোচনা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ। সেই একি কারণে আমাদের জন্য মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য সমূহ জানাও খুব জরুরী যাতে করে আমরা প্রত্যেকে নিজেদের দিকে তাকাতে পারি - আত্ম সমালোচনা করতে পারি - আমরা কি মুনাফিক হয়ে গেলাম কি না! মুনাফিক হয়ে গেলে আমরা কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি সে সম্পর্কে আসলে আমাদের অধিকাংশের কোন ধারনাই নাই। ফলে এ বিষয়ে জ্ঞান থাকা আমাদের ঈমানের দাবী! তাই, এই ধারাবাহিকতায় আজকের জুমা'য় আমরা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিয়ে তথ্যবহুল সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ। ওয়ামা তাওফিকি ইল্লাহ বিল্লাহ, 'আলাইহি তাওাক্কালতু ওয়া ইলাহি উনিব!

মুনাফিক 'আবদুল্লাহ ইবনে উবাই' কে নিয়ে জায়েদ ইবনে আল আরকামের কাহিনী

বর্ণিত আছে, জায়েদ ইবনে আরকাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন: "আমি যখন একটি গাজায় (যুদ্ধে) অংশ নিচ্ছিলাম তখন আমি 'আবদুল্লাহ ইবনে উবাই (ইবনে আবি সালুল) কে বলতে শুনেছি: 'যারা আল্লাহর রাসূলের সাথে থাকে তাদের জন্য ব্যয় করো না, যাতে তারা রাসুল কে ছেড়ে চলে যায়। আমরা যখন (মদীনায়) ফিরে যাব, অবশ্যই আমাদের সম্মানিতরা আমাদের মধ্যকার ছোটলোকদেরকে বহিষ্কার করবে। আমি আমার চাচা বা উমর (রাঃ)'র কাছে ব্যাপারটি জানাই, যিনি বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সালামকে অবহিত করেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলে আমি তাকে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেছিলাম। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ও তার সহযোগীদেরকে ডেকে পাঠালেন এবং তারা শপথ করে বলল যে তারা তা বলে নি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে 'আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর বক্তব্য বিশ্বাস স্থাপন করলেন। আমি এর আগে কখনই এত মন খারাপ করিনি যা তখন করেছিলাম। আমি বাড়িতেই অবস্থান করতে থাকি আর আমার চাচা আমাকে বলছিলেন: 'আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন এবং তোমাকে ঘৃণা করেছেন আর তুমি এর বেশী আর কিছু পাওনি। তারপর আল্লাহ তায়ালা কোরআনের গোটা সুরা আল মুনাফিকুন নাযিল করেছেনঃ (বুখারী ও মুসলিম)।


লেখকঃ আবু আমনুন সায়্যিদ। 

সম্পূর্ণ লেখা পড়তে "DOWNLOAD PDF" বাট্‌নে এ ক্লিক করুন।