ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল, ২০ রবিউল আওয়াল ১৪৪২, ২১ কার্ত্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৬ নভেম্বর ২০২০
প্রথম খুতবা
সূচনা
সম্মানিত জুমা’আর মুসল্লিগণ!
গত খুতবায় আল্লাহ’র সাহায্য ও বিজয় কবে আসবে, আর তা অর্জনের উপায় নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম। বর্তমান সময়ের সর্বগ্রাসী ফিতনা সমুহের অন্যতম হল গোটা পৃথিবী ব্যাপী ইসলাম ও মুসলিম বিদ্ধেষ! তারচেয়ে মারাত্মক বিষয় হল আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী ﷺ এর উপর জঘন্য অপবাদ আরোপ। এ বিষয়ে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে আমি আপনাদের কাছে আরজ করেছিলাম যে আল্লাহ’র সাহায্য লাভের জন্য আমাদেরকে যোগ্য করে তুলতে প্রথমেই আমাদের নিজেদেরকে ইসলামে পুরনাঙ্গভাবে প্রবেশ করাতে হবে। তথা নিজেদের ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা ঘুচাতে হবে। নিজেদের মধ্যে আত্মঘাতী বিবাদ বিসম্বাদ ঝেটিয়ে বিদায় করে ইসলামের সোনালী দিনের সেই ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, প্রাসঙ্গিক ভাবে প্রথমে আমি আপনাদেরকে দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)এর একটি কালোত্তীর্ণ উক্তি স্মরণ করাতে চাইঃ
“আমরা এমন জাতি, যারা নিতান্ত তুচ্ছ, নীচু জাত ছিলাম। আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে আমাদের মর্যাদা উঁচু করে দিয়েছেন। আমরা যদি ইসলাম বাদ দিয়ে অন্য কোন উপায়ে সম্মান কামনা করি, তবে আল্লাহ আবারো আমাদের নীচু করে দেবেন”।
দ্বিতীয়ত, কিন্তু অধিকতর জরুরী ব্যাপার হিসেবে নবী ﷺ এর সেই বিখ্যাত হাদিস স্মরণ করাতে চাইঃ
আবু হুরাইরা (রাঃ)হতে বর্ণিত, রাসুল ﷺ বলেছেন:
‘শীঘ্রই মানুষ তোমাদেরকে আক্রমন করার জন্য আহবান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সাথে খাবার খাওয়ার জন্য একে-অন্যকে আহবান করে।’
জিজ্ঞেস করা হলো, ‘তখন কি আমরা সংখ্যায় কম হবো?’
তিনি ﷺ বললেন, ‘না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত, তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো হবে, যাকে সহজেই সামুদ্রিক স্রোত বয়ে নিয়ে যায় এবং আল্লাহ তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন (অর্থাৎ তারা তোমাদের ভয় করবে না) এবং তোমাদের অন্তরে আল-ওয়াহ্হান ঢুকিয়ে দিবেন।’
জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল ﷺ, আল- ওয়াহ্হান কি?’
তিনি ﷺ বললেন, ‘দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং ক্বিতাল (যুদ্ধ) কে অপছন্দ করা।’ [মুসনাদে আহমদ, সুনানে আবু দাউদ]
লেখকঃ আবু আমনুন সায়্যিদ।
সম্পূর্ণ লেখা পড়তে "DOWNLOAD PDF" বাট্নে এ ক্লিক করুন।
0 Comments
Post a Comment