ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল, ১৩ রবিউল আওয়াল ১৪৪২, ১৪ কার্ত্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ৩০ অক্টোবর ২০২০

প্রথম খুতবা

সূচনা

إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا

مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلا تَمُوتُنَّ إِلا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ قال الله تعالى

يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا وقال تعالى كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ وقال تعالى يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا

فَإِن أَصْدَقُ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ تَعَالَى وَأَحْسَنُ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِي النَّارِ

أَمَّا بَعْدُ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লার নবী ও রাসুল হিসেবে মনোনয়নের পর মুহাম্মাদ এর গোটা নবুয়তের সময়কালে রাসুল এর, এবং তাঁর সাহাবাদের উপর এমন অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে যেখানে সাহাবাদের আকুল আবেদন ছিল, "হে আল্লাহ'র রাসুল! আল্লাহ'র সাহায্য ও বিজয় কখন আসবে?” রাসুল এর মৃত্যুর পর থেকে অদ্যাবধি মুসলিম উম্মাহ প্রতি শতাব্দিতে বিভিন্ন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে আর আকাশের দিকে হাত তুলে বা সিজদায় লুটিয়ে তাদের এক, একক, অদ্বিতীয় প্রভুর কাছে আকুল আবেদন করেছে, "হে আল্লাহ! আপনার সাহায্য কবে আসবে?" বিশেষ করে স্মরণ করা যেতে পারে; ১৩ শতকে তাতারিদের মুসলিম সভ্যতার কেন্দ্রস্থল বাগদাদ আক্রমণ যেখানে দযলা ফোরাত নদীদ্বয় হত্যাকৃত নির্দোষ মুসলিমদের রক্তে একবার লাল হয়েছিলো, আর আরেকবার তাদের প্রতিষ্ঠিত তৎকালীন পৃথিবীর বৃহত্তম লাইব্রেরীর বইয়ের কালিতে কালো হয়েছিলো! কারণ তাতার বাহিনী মনে করেছিলো ইসলামী সভ্যতাকে ধ্বংস করতে হলে মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যার সাথে ইসলামের ধর্মীয় পুস্তক ও জ্ঞান বিজ্ঞানের আঁধার যাবতীয় বই পুস্তক ধ্বংস করতে হবে – তাই নদীতে ফেলে দেয়া! এছাড়া আরও স্মরণ করা যেতে পারে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ইউরোপীয় খৃষ্টান দেশ সমূহের ১১, ১২ এবং ১৩ শতকে একের পর এক ক্রুসেড, series of crusades বা ধর্ম যুদ্ধ পরিচালনা যা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বুশ জুনিয়রের ভাষায় এখনো চলছে... ফাস্ট ফরওয়ার্ড করে আমরা দেখতে পাই উপনিবেশ আমলে ১৮, ১৯ বা ২০ শতকে ইতিহাসে রেকর্ডকৃত ঐপনিবেশিক শাসকদের দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত উপমহাদেশ বা উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশ সমুহের জবর দখল, যুলুম, হত্যা ইত্যাদি।

বর্তমান সময়ের ২১ শতকের গোটা পৃথিবীঃ ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, ইয়েমেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, জার্মানি, নিউজিলানড, চীন, কাশ্মীর, মিয়ানমার, আমেরিকা লিস্ট অনেক বড়, মুসলিম বা অমুসলিম প্রতিটি দেশে বসবাসরত মুসলিম জনগণের অনেকে, নিজেদের মান-সম্মানহানী, দুঃখ-দুর্দশা, ইসলামের উপর ক্রমাগত কঠিন আক্রমণ, বিরুপ আচরণ, নবী কে নিয়ে আগ্রাসী অশালীন অপবাদ এমন অবস্থায়; কখনও ভয়ে, কখনও ক্ষোভে, কখনও হতাশ হয়ে, কখনও বা দ্বিধা-দন্দে, বা আফসুস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর বল্লে আল্লাহ'র সাহায্য কবে আসবে? আমাদের কি আদৌ কখনও বিজয় আসবে? আল্লাহ'র সাহায্য অর্জনের কোন উপায় আছে কি?


লেখকঃ আবু আমনুন সায়্যিদ। 

সম্পূর্ণ লেখা পড়তে "DOWNLOAD PDF" বাট্‌নে এ ক্লিক করুন।